ঢাকা, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১
শিরোনাম

টয়লেটে বসে ফোন ব্যবহারে বাড়ছে কঠিন রোগের ঝুঁকি


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৭ বিকাল

স্মার্টফোন এক মিনিট হাতে না থাকলে অনেকেই নিজেকে অসহায় মনে করেন! স্মার্টফোন ছাড়া এখন এক মিনিট কাটানোও কঠিন। অনেকেই টয়লেটে যান হাতে ফোন নিয়েই। তবে এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ, এমনই বলছে গবেষণা।

সম্প্রতি সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাপত্রে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। গবেষকরা দাবি করেছেন, ৫০ শতাংশের বেশি অস্ট্রেলিয়ার মানুষ ও ৮০ শতাংশেরও বেশি আমেরিকান টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন।

৬০ শতাংশের বেশি ব্রিটিশ নাগরিক টয়লেটে যান হাতে মোবাইল ফোন নিয়ে। ভারতীয়রাও দৌড়ে পিছিয়ে নেই। ৭০ শতাংশের বেশি ভারতীয় একই কাজ করেন। এর ফলে যেসব সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে সেগুলোরও তালিকা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। 

প্রায় ৮০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ফোন নিয়ে যান টয়লেটে, এমনটিই জানাচ্ছে গবেষণা। সংখ্যাটি কিন্তু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বর্তমান পরিস্থিতি।

এই বদভ্যাস কিন্তু শরীরের জন্য হতে পারে মারাত্মক। টয়লেট হলো জীবাণুর আঁতুরঘর। ই কোলি, সি ডিফিসিলের মতো মারাত্মক ধরনের জীবাণু থাকে টয়লেটে।

খুব সহজেই কিন্তু এই জীবাণুগুলো মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে টয়লেঠে মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে। ফোনে সহজেই এই জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে।

এই জীবাণুর কারণেই মূলত ফোন ব্যবহারের সময় গরম হয়ে যায়। জেনে নিন টয়লেটে ফোন নিয়ে যাওয়া কারণে কোন রোগ হতে পারে-

পাইলস হয়

পাইলস একটি গুরুতর ব্যাধি। এতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক। তবুও সচেতনতা নেই। তাই দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘক্ষণ বাথরুমে ফোন নিয়ে বসে থাকার কারণেও অনেকের অর্শ হয়। আর যাদের আগে থেকেই সমস্যা আছে, তাদেরও জটিলতা বাড়ে।

পেটের সমস্যা

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, টয়লেটে দর্ঘক্ষণ ফোন নিয়ে পেটের সমস্যাও বাড়ে। এক্ষেত্রে জীবাণুর সংক্রমণ অবশ্যই একটা কারণ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়

টয়লেটে মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে যে জীবাণু সহজেই ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটাতে পারে এই জীবাণু।

যদি কারও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয় তাহলে এসব সংক্রমণ প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। তাই এখন থেকে টয়লেটে ফোন হাতে যাওয়ার আগে একবার নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে ভাবুন।

বাথরুমে ফোন ব্যবহার করলে শুধু শারীরিক ক্ষতিই নয় সময়ও নষ্ট হতে পারেন। তাই এই অভ্যাস ছাড়ুন। চেষ্টা করুন নিজেকে এর থেকে মুক্ত করতে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত