ঘুমানোর আগে রিলস দেখলে শরীরের যে ক্ষতি হয়

আরবান ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৮ দুপুর
_original_1742708312.jpg)
তরুণ থেকে বৃদ্ধ প্রায় মানুষই এখন স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানেই এখন রিলসের ছড়াছড়ি। এই রিলস বা স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও দেখার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। রিলস কেবল তরুণদের নয়, সব বয়সীর কাছেই জনপ্রিয়। অনেকে বেশ রাত অবধি জেগে রিলস দেখে সময় কাটান। কারও আবার এটা নিত্যদিনের অভ্যাস। কিন্তু জানেন কি, এই অভ্যাস ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যের ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে? সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে ঘুমানোর আগে টানা রিলস দেখার ফলে বাড়ছে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি।
হাইপারটেনশনের ঝুঁকি :
ঘুমোতে যাওয়ার আগে রিলস দেখার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা; এ নিয়ে চীনের এক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বয়সের ৪ হাজার ৩১৮ জনের ওপর একটি গবেষণা করেছে। গবেষণাতে রিলস দেখার সঙ্গে হাইপারটেনশনের ঝুঁকির যোগসূত্র খুঁজে পান তারা। বিশেষ করে তরুণ এবং মধ্যবয়সীদের মধ্যে এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
মানসিক চাপ :
অনেক দিন ধরেই গবেষকরা গবেষণা চালাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর রিলসের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে। ফলাফল হিসেবে তারা পেয়েছেন, অতিরিক্ত রিলস দেখা মনের ওপর চাপ ফেলে। জেন জি এবং জেন আলফার কনসেনট্রেশন ধরে রাখতে না-পারার পেছনেও এই রিলসকে দায়ি করেছেন গবেষকরা। পাশাপাশি এর প্রভাবে চিন্তার খোরাক কমে যায়। সৃজনশীল চর্চার পরিধি সংকুচিত হয়ে যায়। রিলস এবং ডুমস্ক্রোলিং-এর বদ অভ্যাসের জেরে ব্রেন রট হওয়া খুব স্বাভাবিক। বিশেষ করে ঘুমোতে যাওয়ার আগে রিলস দেখার পরিণাম ভয়াবহ রকমের।
রিলস দেখার ফলাফল:
রাতে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিলস দেখেন। দীর্ঘক্ষণ একইভাবে থাকার কারণে শরীর আড়ষ্ট হয়ে পড়ে। ফলে রক্ত চলাচলও স্তিমিত হয়ে পড়ে। এবং এর জেরে শরীরে হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা দানা বাঁধে স্বাভাবিকভাবেই। আবার এভাবে দীর্ঘক্ষণ রিলস দেখার সময় শরীরের সিম্পেথেটিক নার্ভাস সিস্টেম আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে ভিডিও দেখার সময় হৃৎস্পন্দন তুলনামূলক বেড়ে যায়। টানা একই কাজ করলে এর প্রভাব হতে পারে ভয়াবহ।
বাঁচার উপায়
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, রিলসে আসক্ত হওয়া যাবে না। ঘুমোতে যাওয়ার আগে রিলস দেখা বা স্কিনে চোখ রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে স্মার্ট ফোন দূরে রেখে ঘুমোতে হবে।