ঢাকা, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১
শিরোনাম

আশুরার রোজার ফজিলত


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ১৫ জুলাই ২০২৪, ১০:৩২ রাত

হাদিস শরিফে রাসূল (সা.) আশুরার দুটি রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তার কারণ হলো-ইহুদিদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করা। এক হাদিসে আছে, ‘তোমরা আশুরার রোজা রাখ এবং ইহুদিদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করে আশুরার আগে বা পরে আরও একদিন রোজা রাখ’। (মুসনাদে আহমদ, ১/২৪১)।

অন্য হাদিস আছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন, ‘আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি, তাহলে ৯ তারিখেও অবশ্যই রোজা রাখব। (সহিহ মুসলিম : ১/৩৫৯)।

আশুরার রোজার ফজিলত :
হাদিস শরিফে আশুরার দিন রোজা রাখার বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এমনকি রমজানের পর এ রোজার ফজিলত বেশি বলা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, রমজান মাসের পর সর্বোত্তম রোজা হলো মহররম মাসের রোজা (আশুরার সাওম) এবং ফরজ সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হলো রাত্রের সালাত (নাসায়ী, ১৬১৩)।

অন্য হাদিসে এসেছে, উবায়দুল্লাহ (রা.)-থেকে বর্ণিত ইবনে আব্বাস (রা.)-কে যখন আশুরার সাওম (রোজা) সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল তখন তিনি তাকে বলতে শুনেছেন, নবি (সা.) রমজান মাসের ও আশুরার সাওম ব্যতীত অন্য কোনো দিনের সাওমকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। (নাসায়ী, হাদিস নং ২৩৭০)।

রোজা রাখা যাবে: ১৬ ও ১৭ জুলাই অথবা, ১৭ ও ১৮ জুলাই।

 

মো: আনিসুর রহমান
এসোসিয়েট প্রফেসর এবং চেয়ারম্যান
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত