ব্রেন টিউমারে থেমে যাচ্ছে মেঘলার স্বপ্ন, বাঁচার জন্য হাত বাড়াচ্ছে সমাজের প্রতি

নাহিদ আলম, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৪ দুপুর
_original_1751532821.jpg)
আমি সুস্থ হয়ে আবার স্কুলে যেতে চাই, পড়তে চাই’ এই কথাগুলো বলার সময় বারবার চোখ মুছছিল পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেঘলা রানী বর্মন। মাথার যন্ত্রণায় তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ। ডাক্তার জানিয়েছেন, তার ব্রেন টিউমার হয়েছে। এখন প্রয়োজন দ্রুত চিকিৎসা, কিন্তু দরিদ্র বাবা-মায়ের পক্ষে এই ব্যয় সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণ চন্দ্র বর্মন ও গীতা রানী বর্মনের ছোট মেয়ে মেঘলা। পড়ত স্থানীয় ঘাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে। পরিবারটির স্বপ্ন ছিল, মেঘলা বড় হবে, লেখাপড়া করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। কিন্তু কয়েক বছর আগে খেলার সময় মাথায় আঘাত পাওয়ার পর থেকে শুরু হয় তার মাথা ব্যথা। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হলেও সমস্যার সঠিক কারণ ধরা পড়েনি। অবশেষে এক মাস আগে ময়মনসিংহে পরীক্ষা করে জানা যায়, মেঘলার ব্রেন টিউমার হয়েছে।
মেঘলার মা গীতা রানী বর্মন বলেন, 'আমরা গরিব মানুষ, দিন এনে দিন খাই। মেয়ের চিকিৎসা করতে অনেক টাকা দরকার। মেয়েটা এখন আর স্কুলে যেতে পারে না। একটু জোরে শব্দ হলেই মাথা ব্যথা করে, অজ্ঞান হয়ে যায়। মেয়েকে বাঁচাতে সবার সহযোগিতা চাই।'
মেঘলার বাবা নারায়ণ চন্দ্র বর্মন বলেন, 'আমি কৃষকের জমিতে কাজ করি, নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রি করি। মেয়ের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন বাজারে গিয়ে সাহায্য চাই। কেউ বিশ্বাস করে, কেউ করে না। কিন্তু চিকিৎসায় লাখ লাখ টাকা লাগবে। বাবা হয়ে মেয়ের এমন কষ্ট দেখছি, কিছুই করতে পারছি না। খুব কষ্ট লাগে।'
মেঘলার স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামছুল হক মৃধা বলেন, 'মেঘলা ভালো ছাত্রী ছিল। মাঝেমধ্যে মাথা ব্যথার কথা বলত, আমরা ছুটি দিতাম। তার পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা স্কুল থেকে তার জন্য চিকিৎসা সহায়তা তহবিল গঠনের চেষ্টা করছি। সমাজের সহৃদয় ও সামর্থ্যবান মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।'
প্রতিবেশীরাও বলছেন, মেঘলার বাবা দিনমজুর, তাদের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা অসম্ভব। সময়মতো চিকিৎসা পেলে মেঘলা আবার স্কুলে ফিরতে পারবে।
সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ:
নারায়ণ চন্দ্র বর্মন (মেঘলার বাবা) বিকাশ (পার্সোনাল): ০১৪০২৬৬৮৪০৭