‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের জন্য সবকিছু করবে সরকার’
আরবান ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ দুপুর
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন,গত জুলাই ও আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার সবকিছু করবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইওএইচ) আয়োজিত আয়োজিত ‘চোখে আঘাতপ্রাপ্ত ছাত্র-জনতার দৃষ্টি ও মানসিক স্বাস্থ্য’ বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল।
এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহাকারী বলেন, সরকার খরচ নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা দিতে যেখানেই নেওয়া দরকার সেখানে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ১০ জনকে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ডেটাবেজ চূড়ান্ত করতে বিলম্ব হওয়ায় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের নিহত ও আহতদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। সরকার সাড়ে ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার আহতের নাম পেয়েছে এবং এখন পর্যন্ত তাদের অর্ধেকের তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়েছে। যাচাই শেষ হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। সরকার কোনো বিতর্ক এড়ানোর জন্য একটু সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছে।
কর্মশালার বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বক্তৃতায় স্বীকার করেন যে, আহতদের মধ্যে কেউ কেউ মানসিক আঘাত কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক সহায়তা পাননি। তিনি আশ্বস্ত করেন যে, এখন থেকে তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন। আন্দোলনে আহতদের তথ্য-উপাত্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর তাদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদের মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।
ডা. মুনির তার বক্তব্যে বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য সাধারণত বাংলাদেশে তার প্রাপ্য গুরুত্ব পায় না। তবে আজকের কর্মশালা একটি ব্যতিক্রম। মানসিক স্বাস্থ্যকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়ার জন্য আমাদের কী উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে।
এদিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, এনআইওএইচ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা প্যানেল কর্মশালায় উপস্থিত হয়ে আহতদের প্রশ্নের জবাব দেন।
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের প্রশ্নের জবাবে প্যানেল সদস্যরা বলেন, তারা আহতদের শরীরে থাকা সকল বুলেট অপসারণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, তবে কিছু এখনও রয়ে গেছে। তারা আশ্বস্ত করেন যে, গুলিগুলো তাদের কোনো ক্ষতি করবে না।