ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
শিরোনাম

সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারের উদ্যোগে শঙ্কার কারণ নেই


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ রাত

জনগণের কল্যাণের জন্য জনগণের মালিকানাধীন রাষ্ট্রে জনগণের পক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করার এখতিয়ার ও ক্ষমতা সরকারের আছে। তাই সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করলে এতে শঙ্কায় পড়ার কোনো কারণ নেই।

শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘বিগত সরকার সৃষ্ট সিন্ডিকেটই বাজার অস্থিরতার জন্য দায়ী’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। 

এ সময় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়।প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে কিছু দ্রব্যাদির ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুরসহ রোজায় অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আমদানিতে এলসি মার্জিন উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এতে রোজায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

তিনি জানান, ঢাকা সম্প্রসারিত হলেও স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজার- মাত্র এই দুটি স্থানে ডিমের আড়ৎ রয়েছে। ভোক্তাদের সুবিধার্থে আগামীকাল (রোববার) থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৬টি ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭টি সাব সেন্টারে সরাসরি ডিম বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রান্তিক খামারিরা কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মুরগির বাচ্চা, ফিড এবং ভ্যাকসিনাদি গ্রহণের যে রীতি গড়ে উঠেছিল তা থেকে খামারিদের মুক্ত করে উৎপাদন ও বিপণন আরও সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায়, এর মাধ্যমে ভোক্তা ও খামারিরা উপকৃত হবে। 

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সাধারণ মানুষ ভোট প্রদানের অধিকারের সঙ্গে সঙ্গে ভাতের অধিকারও নিশ্চিত করতে চায়। বিগত সরকার ভোট ও ভাত কোনোটিরই অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। মানুষ না পেরেছে ভোট দিতে, না পেরেছে দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকল থেকে বাঁচতে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর মানুষের অনেক আশা ভরসার জায়গা তৈরি হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তে এনবিআরকে স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে আশা করি, আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে চিনি, গম, ভোজ্যতেলসহ ৫-৬টি পণ্যের ওপর সরকার এলসি মার্জিন উঠিয়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন হয়। তাছাড়া ৬-৭টি করপোরেট কোম্পানির কাছে বন্দি আমরা। করপোরেট কোম্পানিগুলো যেন বোয়াল মাছ, গজার মাছের মতো। সবই খেয়ে ফেলতে চায়। ছোট বড় পণ্য থেকে শুরু করে মিডিয়া, সংবাদপত্র সবই তাদের নিয়ন্ত্রণে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের সিন্ডিকেট ভেঙে সব ব্যবসায়ীকে সমান সুযোগ প্রদান করা উচিত।

 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত