ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
শিরোনাম

শেরপুরে চলছে নীরব চাঁদাবাজি ! আতঙ্কগ্রস্থ নানা পেশাজীবী মানুষ


  রফিক মজিদ, শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ :  ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ দুপুর

স্বৈরাচার পতন বা ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর থেকেই থেকেই অদ্যবধি পর্যন্ত শেরপুরের সর্বত্র নিরব চাঁদাবাজির আওয়াজ চাউর আছে। অলি গলিতে চাঁদাবাজির নানা কিসিমের গল্প এখন মানুষের মুখেমুখে। জেলায় বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষকে মামলা-হামালার ভয় দেখিয়ে নীরবে-নিবৃত্তে চলছে চাঁদাবাজি। চান্দাকান্ডের ব্যাপ্তি শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছেছে । 

অপরদিকে স্বৈরাচারের ভাগিদারও টাকা পয়সা দিয়ে পাড় পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দলীয় আলোচনায় বিএনপি নেতারাও চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর হুশিয়ারি দিচ্ছেন। বহিস্কারের কথাও বলছেন জোরে সুরে। চাঁদাবাজি হচ্ছে স্বীকার করে জামায়াত এসব কর্মকান্ডকে দুঃখজনক বলেছে। ছাত্র আন্দোলনের অগ্রভাগের নেতারা বলছেন চাঁদাবাজি আন্দোলনের অর্জনকে মলিন করছে। 

সাধারণ নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজির জন্য নানা জনের নাম বলছে। তবে ভয় আতংকে স্পষ্ট করে চাঁদাবাজদের নামও বলার সাহস পাচ্ছে না। সাধারণ মানুষের চোখে মুখে আতংকের ছাপ। রাজনৈতিক সুধিজনরা বিব্রত হচ্ছেন। সাহসী কেউকেউ দু’চারজন সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্টে প্রভাবশালীদের ইঙ্গিত করে কমেন্টস করে চাঁদাবাজি কর্মের প্রতিবাদ করছেন। তবে এ বিষয়ে ওইসব কমেন্টসকারীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, কান পেতে শুনুন কে চাঁদাবাজি করছে। ভিকটিম ক’জনের সাথে যোগাযোগ করলে সুকৌশলি এড়িয়ে গেছেন। বলেছেন কার বিচার, কাকে দিব। আইন শৃংখলা বাহিনী এখনও ছন্দে ফিরেনি। কোথায় অভিযোগ করলে প্রতিকার পাওয়া যাবে তারও কোন ঠিক নেই। অভিযোগ করলে বিপদ আরও বাড়তে পারে তাই বাঁচার জন্য অনেকেই চুপচাপ থাকছেন। সাধারণের প্রশ্ন তবে চাঁদাবাজি করছে কে ? তবে আশার খবর হলো মাঠে গোয়েন্দারা বেশ সক্রিয় বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে। প্রতিটি ঘটনা ও ঘটনার মাস্টার মাইন ও চাঁদাবাজদের নাম গোয়েন্দারদের হাতে রয়েছে। আইনের শাষন প্রতিষ্ঠিত হলেই থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে ও চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

এসব চাঁদাবাজির বিষয়ে শেরপুরের সমাজসেবক রাজিয়া সামাদ ডালিয়া বলেন, শেরপুরে যেভাবে নিরবে চাঁদাবাজি চলছে তাতে সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। দেশের স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে তাদের দলের নেতা কর্মীরা সবাই পলাতক রয়েছে। এমন অবস্থায় শেরপুরের বিএনপি নেতা কর্মীদের আমি বলেছি আপনারা এই চাঁদাবাজি বন্ধ করুন। আপনারা যদি এর সাথে জড়িত না থাকেন তাহলে থানা মোড়ে দাঁড়িয়ে এর প্রতিবাদ করুন কারা করছে চাঁদাবাজি তার খোঁজখবর নিয়ে তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিন। আমার তো কোন অস্ত্র নেই চাঁদাবাজি প্রতিরোধ করা। আমি ৮২ বছর বয়সেও যেটা করতে পারি সেটা হচ্ছে এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অনশন করা। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত