রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২
শিরোনাম

সবজি চাষে বদলে যাচ্ছে ফুলপুরের চরাঞ্চলের কৃষকের জীবন


  মোতালেব সরকার

প্রকাশ :  ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৪ দুপুর

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কংশ ও খরিয়া নদের চরাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে শাক -সবজির চাষ করে সহস্রাধিক কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। শুধু মাত্র ধান চাষের উপর নির্ভরশীল কৃষি জমিতে শাক -সবজি চাষ এনে দিয়েছে নতুন সাফল্যের গতি। চরাঞ্চলের উৎপাদিত সবজি এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়েও রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের উপজেলা গুলোতে যাচ্ছে।
 
কৃষকদের জীবন জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে কৃষির এই সফল বিবর্তন। অন্যদিকে সার ও কীটনাশকের প্রয়োগ সম্পর্কে না জানা,  চাষ পদ্ধতির উপর প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণের অভাব, সবজি সংরক্ষণ ও বিপণন ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় কৃষকদের উৎপাদিত সবজি বেঁচে প্রত্যাশা মত লাভ করতে পারছে না।  সমস্যা গুলোর সমাধান হলে সবজি উৎপাদন করে পরিশ্রমী কৃষকরা আরও লাভবান হবেন বলে তারা আশা করেছেন।
 
বর্তমানে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের ৪২০ টি গ্রামের মধ্যে  ৪০ টি গ্রামে বলতে গেলে বার মাসই শাক -সবজি উৎপাদন হয় এবং প্রতিদিন ফুলপুরের হাট- বাজার গুলোতে শিম, লাল শাক, পালং শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, লাউ, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, ভরবটি, পুইশাক, করলা, পটল, টমেটো, শসা, ঝিঙ্গা, চিচিংগা,  পেঁপে, ঢেঁড়শসহ প্রভৃতি উৎপাদিত  তরতাজা শাক-সবজি ক্রয়- বিক্রয় হয়ে থাকে। এ সব শাক-সবজি রাজধানী ঢাকাসহ আশ পাশের উপজেলার সবজি ব্যবসায়ীদের কাছে কংশ ও খরিয়া নদের চরাঞ্চলের গ্রামগুলো সবজি ভাণ্ডার হিসেবে সুপরিচিত। 
 
শাক-সবজি আবাদ করে স্বচ্ছলতার মুখ দেখছে, এলাকার অনেকেই জানান, সবজি ফসলের সাথে কোন ফসলের তুলনায় হয না। প্রতি একর জমিতে বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করতে খরচ পড়ে ৩২ হাজার টাকার মতো। আর ১ একর জমির সবজি ফসল থেকে আয় হয় ১ লাক্ষ টাকা। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতেও সমস্যা হচ্ছে না।
 
ফুলপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শাক-সবজি চাষ লাভ হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি ও জীবন যাত্রার মান বদলাতে শুরু করেছে।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত