মোস্তাক আহমেদ খান : প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সেমিনার কক্ষে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা ও দুর্গাপুর উপজেলার সাংবাদিকদের সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ (আবাসিক) তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা সমাপন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সমাপ্ত হলো। গত ০২ থেকে ০৪ ডিসেম্বর শুক্রবার পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী পূর্বধলা উপজেলার নবীন প্রবীণ ১৭জন সাংবাদিক ও দূর্গাপুর উপজেলায় ১১ জন নবীনসহ ২৮ জন সাংবাদিক এ প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা-৩ আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার রাজন ভট্টাচার্য ।

পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ সভাপ্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকতার বিভিন্ন বিষয়ে অবহিতকরণ, জানা বিষয়গুলোকে পুনরায় জানাতে ও প্রশিক্ষণার্থীদের সাংবাদিকতার মৌলিক বিষয় সম্পর্কে অবহিত করতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে পিআইবি। ৩ দিনের কর্মসূচিতে ৮জন প্রশিক্ষকের পরিচালনায় মোট টি ১২টি সেশনে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার প্রশিক্ষণের শেষদিনে সমাপন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

রিসোর্সপার্সন ছিলেন, চ্যানেল আইয়ের বার্তা সম্পাদক মীর মাশরুর জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রাহাত মিনহাজ, বাংলাভিশনের সিনিয়র বার্তা সম্পাদক রুহুল আমিন রুশদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান কাজল, যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজ মিশু, দৈনিক জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার রাজন ভট্টাচার্য, পিআইবির প্রশিক্ষক শাহ আলম সৈকত।

এ সময় প্রধান অতিথি অসীম কুমার উকিল বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করা ও প্রশ্ন করার অধিকারই সাংবাদিকতার শক্তি। আশা করছি, এই প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে সেই শক্তিগুলোকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিকরা দেশ ও মানবউন্নয়নে কাজ করে যাবে’।
তিনি বলেন, বয়সের কারণে অনেকে যুদ্ধে যেতে পারেননি, মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। তাদের জন্য এটা বড় সুযোগ। বছরজুড়ে অনেক কাজ করার আছে। মুক্তিযুদ্ধকে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। সাংবাদিকতাকে যারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাদের অনেক দায়িত্ব। মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতার শত্রু প্রতি পদে পদে থাকে। এখনো আছে। আমাদের সকলের সতর্ক থাকতে হবে।

সভাপ্রধান জাফর ওয়াজেদ বলেন, ‘সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকদের নৈতিকতার দিক থেকে শক্তিশালী হতে হবে। তাদের হতে হবে সৎ, দক্ষ ও বিচক্ষণ।
পিআইবি মহাপরিচালক বলেন, এই সংকটের পেছনে মান একটি বড় কারণ। যে কারণে পিআইবি নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করছে। আমরা প্রান্তিক পর্যায়ের সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আনার চেষ্টা করছি। তাদের বঞ্চিত করা ঠিক হবে না। প্রান্তিক পর্যায়ে যারা ভালো রিপোর্টিং করেন, তারা সুযোগ পান ঢাকায় এসে প্রশিক্ষণ নেওয়ার, কাজ করার। তাই তাদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার আরও বেশি দরকার। কৃষি সেক্টরের উন্নতির জন্য কৃষি সাংবাদিকতায় আরও বেশি তৎপর হতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারবে। মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, এটা দুঃখজনক যে আমাদের পত্রিকার পাঠক কমে যাচ্ছে। আমাদের শিক্ষার হার বাড়লো কিন্তু কেউ পত্রিকা পড়ে না। করোনা কালীন সময়ে আরও পাঠক কমেছে। মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে। কারণ সে কিছু আহরণ করছে না।